Thursday 12 November 2015

জাপানে ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচার-Nov/2015


Ansar Ahmed Choudhury to আপনার জিজ্ঞাসা--> জেনে নিন--> দ্বীনি প্রশ্নোত্তর
জাপানে ডাঃ জাকির নায়েকের
লেকচার !!
গত ৭ নভেম্বর জাপানের টোকিওতে
তিয়ারা কোতো, সুমিয়োশিতে
বক্তৃতা দেন বিশ্বখ্যাত ইসলামিক
স্কলার ডাঃ জাকির নায়েক।
জাপানে সফররত এই মহান ব্যক্তি তার
বক্তৃতায় বলেন, মাত্র কিছুদিন হল
বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে,
চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই, অথচ
১৪০০ বছর পূর্বেই পবিত্র কোরআনে সূরা
ফোরকানের ৬১ নং আয়াতে এর
স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, চাঁদ ও সূর্যের কক্ষপথে
ভেসে চলাকে বিজ্ঞান প্রমাণ
করেছে মাত্র ২০০ বছর আগে। আর পবিত্র
কোরআনে সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নম্বর
আয়াতে এই কথা বলা আছে অনেক
আগেই।
৪০ বছর আগে বিগ ব্যাং থিওরি
আবিস্কার করেছে বিজ্ঞান। যা সূরা
আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবে
উল্লেখিত।
১৪০০ বছর আগেই পবিত্র কোরআনে সূরা
কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে বলা
হয়েছে মানুষের আঙুলের ছাপ দ্বারা
তাদের পৃথক করা যায় যা বর্তমানে
প্রমাণ করেছে বিজ্ঞান।
সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে আছে পানি
চক্রের ধারণা যা বর্তমান বিজ্ঞানের
দ্বারা প্রমাণিত।
লবণাক্ত পানি ও মিশ্র পানি যে পৃথক
থাকে তা সূরা ফুরকানের ২৫ নং
আয়াতে বলা হয়েছে। আর আজ সে
সত্যের প্রমাণ পেয়েছেন
বিজ্ঞানীরা।
ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ডান দিক
ফিরে ঘুমানো উচিৎ, আর বিজ্ঞান
প্রমাণ করেছে ডান দিক ফিরে ঘুমালে
হার্ট সুস্থ থাকে।
সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে বলা
হয়েছে পিঁপড়ারা তাদের মৃত দেহ কবর
দেয়। এর সত্যাতাও বিজ্ঞান উদ্ঘাটন
করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মদ পান, শুকরের
গোশত খাওয়াতে লিভারের ক্ষতি হয়।
অথচ বহু আগেই এসব গ্রহণের ওপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শান্তির
ধর্ম ইসলামে।
ডাঃ জাকির নায়েক বলেন, মাত্র
কয়েক দিন হল বিজ্ঞানীরা রক্ত
সঞ্চালন এবং দুধ উৎপাদনের বিষয়ে
জেনেছে যা সূরা মুমিনুনের ২১নং
আয়াতে উল্লেখ আছে।
মানুষের জন্মতত্ত্ব নিয়েও সূরা আলাকে
বলা হয়েছে। যা বিজ্ঞান গবেষণা
করে পেয়েছে।
সেখানেই বলা হয়েছে সন্তান পুরুষ না
নারী হবে তা নির্ভর করে পিতার
ওপর। অথচ এই কথা সূরা নজিমের ৪৫ ও ৪৬
নং আয়াতে এবং সূরা কেয়ামাহ
৩৭-৩০ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই বলা
হয়েছে।
কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে, মায়ের
গর্ভের সন্তান প্রথমে কানে শুনতে পায়
এবং পরে চোখে দেখতে পায়। যা আজ
প্রমাণিত।
পৃথিবী দেখতে কেমন?- এই বিষয়ে
জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। অনেক
গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত
হয়েছেন যে, কমলা লেবুর মত চ্যাপ্টা।
আর কোরআনেও বলা আছে পৃথিবী
উটপাখির ডিমের মত!
সূরা লোকমানের ২৯ নং আয়াতে দিন
রাতের বৃদ্ধি-হ্রাসের কথা বলা
হয়েছে যা এখন বিজ্ঞান প্রমাণ করতে
সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হল
আমরা এসব জানি কিন্তু বোধের
অভাবে মানি না।
একজন নেশাকর যেমন জেনে শুনে
নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে
দিচ্ছে তেমনি আমরাও আমাদেরকে
ইসলামের সত্য পথ থেকে দূরে রেখে
ধ্বংস করে দিচ্ছি।
এহেন অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি
প্রয়োজন। ইসলামের পথে সকলের
এগিয়ে এসে ধ্বংসের পথ থেকে
নিজেকে রক্ষা করতে হবে।
বক্তৃতার শেষ পর্যায় বিভিন্ন মুসলিম-
অমুসলিমদের প্রশ্নের জবাব দেন এই
ইসলামিক স্কলার। এবং সব শেষে ৬
জাপানী ডাঃ জাকির নায়েকের
বক্তব্য শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন ।

Wednesday 11 November 2015

ইসলামী সমাজ বিনির্মানের পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে শায়খ আলবানী

ইসলামী সমাজ বিনির্মানের পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে শায়খ আলবানী:
বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা হ’ল এই যে, তারা বস্ত্তগত শক্তিতে বলীয়ান কাফের রাষ্ট্রসমূহ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং এমন সব শাসকদের হাতে নিপীড়িত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে, যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে না, আর করলেও তা খুব সামান্যই। যার ফলে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তারা সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমি মনে করি মুসলিম দলগুলোকে কেবল দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি না এ দু’টি বিষয় ছাড়া মুসলমানদের এই দুর্বলতা, লাঞ্ছনা ও অপমান-অপদস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় আছে। আমি সকল বিশ্বাসী মুসলিম ভাই-বোনদেরকে বিশেষতঃ সচেতন ও প্রতিশ্রুতিশীল যুবকদেরকে বলছি, প্রথমতঃ যে বিষয়টি আমাদের জানতে হবে তা হ’ল, মুসলমানদের করুণ পরিস্থিতি। আর দ্বিতীয়তঃ যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে তা হ’ল, সমস্ত শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে তা থেকে মুক্তির উপায় বের করার পথ অনুসন্ধান করা। কোটি কোটি মুসলমান আজ কেবল ভৌগলিক বাস্তবতা অথবা নিজের আত্মপরিচয় রক্ষার্থে মুসলিম। অর্থাৎ নিজের জাতীয়তা, পরিচয়পত্র এবং জন্মসনদে লিপিবদ্ধ পরিচিতি মোতাবেক মুসলিম। আজকে আমি তাদের উদ্দেশ্যে কিছুই বলব না। আমি পুনরায় সকলকে বলব, ঐ মুক্তিকামী যুবকদের হাতে মুক্তির কেবল দু’টি পথই খোলা আছে- (১) তাছফিয়াহ বা আক্বীদা সংশোধন (২) তারবিয়াত বা আমলী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন।
তাছফিয়াহ হ’ল, মুসলিম যুবকদের নিকটে সেই বিশুদ্ধ ইসলামকে উপস্থাপন করা, যা যুগের পরিক্রমায় অনুপ্রবিষ্ট ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস, কুসংস্কার, বিদ‘আতসহ সকল প্রকার জাল-যঈফ হাদীছ হ’তে মুক্ত। এই আক্বীদাগত সংস্কারকে বাস্তবায়িত করা ব্যতীত দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই। এই সংস্কার ব্যতীত মুসলমানদের মধ্যে কাংখিত শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার কোন সুযোগ নেই।
এই ‘তাছফিয়াহ’র উদ্দেশ্য হ’ল, ইসলামকে একমাত্র চিকিৎসা হিসাবে উপস্থাপন করা, যা অনুরূপভাবে সেই আরবদের চিকিৎসা করেছিল, যারা একদিকে পারসিক, রোমীয়, হাবশীদের কাছে লাঞ্ছিত, নিপীড়িত অবস্থায় পতিত ছিল। অন্যদিকে আল্লাহর পরিবর্তে গায়রুল্লাহর ইবাদত করতো।
এই অবস্থান থেকে আমরা সকল ইসলামী দল ও গোষ্ঠীর বিরোধিতা করি এবং বিশ্বাস করি অবশ্যই তাছফিয়াহ এবং তারবিয়াত একত্রে শুরু করতে হবে। যদি আমরা রাজনীতি দিয়ে শুরু করি তাহ’লে আমরা দেখতে পাব যে, যারা এখন রাজনীতিতে ডুবে রয়েছে, তাদের আক্বীদা বিনষ্ট। আর ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আচার-আচরণ অনেকটাই শরী‘আতবহির্ভূত। তারা কেবল আমভাবে ইসলামের নামে মানুষ জমায়েত করতেই ব্যস্ত। অথচ তাদের লক্ষ্য ও চিন্তাধারা সম্পর্কে ঐসব আমজনতার কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনাচারে ইসলামের কোন প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখা যাবে, তাদের অধিকাংশ নিজেদের ব্যক্তিজীবনেই ইসলামী বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করে না, যা তাদের পক্ষে সহজেই সম্ভবপর ছিল। অথচ একই সময়ে তারা উঁচু গলায় শ্লোগান দিচ্ছে لا حكم إلا لله ‘আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কোন হুকুম চলবে না!’। বক্তব্যটি ঠিকই যে, অবশ্যই আল্লাহ নাযিলকৃত হুকুম ব্যতীত অন্য কোন হুকুম চলবে না। কিন্তু স্মরণ রাখতে হবে যে, فاقد الشيء لا يعطيه অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি নিজে যা হারিয়েছে, সে অন্যকে তা দিতে পারে না’। আধুনিক কালের অধিকাংশ মুসলমান নিজেদের জীবনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা না করে যদি অন্যদের কাছে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামী ভূমিকা কামনা করে, তবে কখনোই তারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সক্ষম হবে না। কেননা কেউ যদি কোন জিনিস নিজেই হারিয়ে ফেলে, তবে তা অন্যকে দিতে পারে না। আর ঐসব শাসকগণ তো এই উম্মতেরই অন্তর্ভুক্ত। তাই শাসক-শাসিত উভয়কেই এ দুর্বলতার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। জানতে হবে কেন মুসলিম শাসকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইসলামের বিধান অনুযায়ী শাসন করছে না? কেন মুসলিম দাঈগণ অন্যদেরকে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আহবান জানানোর পূর্বে নিজেদের জীবনে ইসলামী বিধান কার্যকর করছেন না। এর জওয়াব একটাই-তাদের কারোরই হয় ইসলাম সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান ছাড়া সঠিক জ্ঞান বা বুঝ নেই অথবা তারা চলাফেরা, জীবনযাপন, স্বভাবচরিত্র, পারস্পরিক লেনদেন কোন ক্ষেত্রেই ইসলামী মূল্যবোধের উপর গড়ে উঠেনি। ফলে আমার অভিজ্ঞতাবলে আমি যা বলতে পারি তারা বড় ধরনের ভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে। আর সেটি হ’ল দ্বীনের সঠিক বুঝ থেকে দূরে ছিটকে পড়া।
এমনকি আজকের দিনে কোন কোন দাঈ মনে করেন যে, সালাফীরা কেবল তাওহীদের দাওয়াতেই জীবনপাত করে গেল। সুবহানাল্লাহ, কতই না মূর্খতায় ডুবে আছে সেই ব্যক্তি, যে অজ্ঞতাবশতঃ এমন কথা বলে। যদি সে প্রকৃতপক্ষে গাফেল নাও হয়, তবুও সকল নবী ও রাসূলের দাওয়াত সম্পর্কে তার জানার কমতি আছে। কেননা সকল নবীর দাওয়াত ছিল, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাক’ (নাহল ১৬/৩৬)। নূহ (আঃ) ৯৫০ বছর যাবৎ কেবল এই দাওয়াতই দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নতুন কোন সংস্কার করেননি, কোন বিধান প্রবর্তন করেননি, কোন রাজনীতি করেননি। বরং তিনি কেবল বলেছিলেন, হে আমার কওম! তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাক’।
এটাই ছিল পূর্ববর্তী সালাফ আম্বিয়ায়ে কেরামের কার্যক্রম! তাহ’লে এই সকল মুসলিম দাঈগণ কিভাবে এত নীচে নেমে যেতে পারেন যে, তারা সেই একই কার্যক্রমের জন্য সালাফীদের নিন্দা করেন?
দ্বিতীয় উপায় হ’ল তারবিয়াত বা প্রশিক্ষণ। যুবকদেরকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে যেন তারা পূর্ববর্তীদের মত দুনিয়ার প্রতি মোহগ্রস্ত না হয়ে পড়ে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, وَاللهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ. وَلَكِنِّى أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ‘আল্লাহর কসম! তোমরা দারিদ্রে্য নিপতিত হবে এ আশংকা আমি করি না। বরং আমি ভয় করি যখন তোমাদের সামনে দুনিয়াবী চাকচিক্যের দুয়ার উন্মুক্ত হবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত। ফলে তাদের মত তোমরাও পরস্পর সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে এবং তা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে, যেভাবে ধ্বংস করেছিল পূর্ববর্তীদেরকে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৬৩)।
আরেকটি রোগ থেকে মুসলমানদের অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে যেন কোনভাবেই তা হৃদয়ে স্থান না পেতে পারে। তা হ’ল, দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে ভয় না করা (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৩৬৯)। এটা এমন একটি রোগ যার চিকিৎসা করা এবং মানুষকে তা থেকে রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। এর সমাধানটি একটি হাদীছের শেষাংশে রাসূল (ছাঃ) উল্লেখ করেছেন এভাবে, حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ ‘যতক্ষণ না তোমরা দ্বীনের পথে ফিরে আসবে’ (আবুদাঊদ হা/৩৪৬২)। অর্থাৎ মুক্তির পথ প্রতিভাত হবে বিশুদ্ধ দ্বীনের দিকে ফিরে আসার মাধ্যমে, যে দ্বীনের উপর অটুট ছিলেন রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنْ تَنْصُرُوا اللهَ يَنْصُرْكُمْ ‘যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৭)। মুফাসসিরগণ একমত যে, অত্র আয়াতে আল্লাহকে সাহায্য করা অর্থ হ’ল, তাঁর হুকুম-আহকাম অনুযায়ী আমল করা। সুতরাং আল্লাহকে সাহায্য করা যদি আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন না করা ব্যতীত অসম্ভব হয়, তাহ’লে আমরা কিভাবে বাস্তব জিহাদে অবর্তীণ হব, যখন আমরা আল্লাহকে সাহায্য করছি না? কেননা আমাদের আক্বীদা যেমন অশুদ্ধ, নৈতিকতাও তেমন ধ্বংসোন্মুখ হয়ে পড়েছে। সুতরাং জিহাদ শুরুর পূর্বে এই অবহেলা-উন্নাসিকতা আর বিবাদ-বিসম্বাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টাই হবে আমাদের আবশ্যকীয় প্রাথমিক কর্মসূচি। আল্লাহ বলেন, لاَ تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوْا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ ‘তোমরা পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহ’লে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে’ (আনফাল ৮/৪৬)। সুতরাং যখন আমরা এই মতবিরোধ ও গাফিলতির পরিসমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হব এবং তদস্থলে পারস্পরিক ঐক্য-ভালোবাসার জাগরণ সৃষ্টি করতে পারব, তখন সেটাই হবে আমাদের দুনিয়াবী শক্তির মূল চাবিকাঠি। আল্লাহ বলেন,أَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ ‘তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্ত্তত কর’(আনফাল ৮/৬০)।
চারিত্রিক দিক থেকেও মুসলমানদের অবস্থা ধ্বংসাত্মক এবং মারাত্মক বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তাইতো সালাফী নন এমন একজন বিখ্যাত মুসলিম দাঈর বক্তব্য (কাযী হাসান হুযায়মী) আমাকে বিস্মিত করেছে, যদিও তাঁর অনুসারীরা তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী চলেন না। তিনি বলেছেন, أَقِيْمُوْا دَوْلَةَ الْإِسْلاَمِ فِيْ قُلُوْبِكُمْ تُقَمْ لَكُمْ فِيْ أَرْضِكُمْ ‘তোমরা তোমাদের হৃদয়ে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা কর, তবেই তোমাদের রাষ্ট্রে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করবে’। অধিকাংশ দাঈ ভুল করেন যখন তারা আমাদের এই মূলনীতিকে অবহেলা করেন। একই ভুল করে বসেন যখন তারা বলে বসেন,
إن الوقت ليس وقت التصفية والتربية ، وإنما وقت التكتل والتجمُّع
‘এখন তো তাছফিয়াহ ও তারবিয়াতের সময় নয়। বরং এখন তো ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ হওয়ার সময়’। অথচ এ অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া কিভাবে সম্ভব হ’তে পারে যখন মৌলিক ও শাখা-প্রশাখাগত নীতিতে বিভেদ বিরাজমান?... এ দুর্বলতাই আজ মুসলমানদের মাঝে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হ’ল যেটা আমি আগেই বলেছি, বিশুদ্ধ ইসলামের দিকে যথাযথভাবে ফিরে আসা এবং সমাজে তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহর নীতি বাস্তবায়ন করা। আশা করি এটুকুই যথেষ্ট হবে। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক (মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আশ-শায়বানী, হায়াতুল আলবানী ওয়া আছারুহু ওয়া ছানাউল উলামা আলাইহে ৩৭৭-৩৯১)।


**       ****          *=*         ****       **=**        ****            **              ******               ***              ***
আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ:) এর জীবনীঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব এমন একজন ব্যক্তিত্বের সাথে যাকে বর্তমান শতকের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। হাদীস গবেষণায় যিনি বর্তমান পৃথিবীতে একজন আলোড়ন সৃষ্টিকারী মহান ব্যক্তি। ইলম চর্চায় তার জীবনীতে আমাদের প্রেরণার যথেষ্ট খোরাক রয়েছে। প্রবল ইচ্ছা শক্তি, অসীম সাহস, সুদৃঢ় মনোবল আর ইখলাস ভরা প্রত্যয় থাকলে কিভাবে একজন মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সাধারণ ঘড়ির মেকার থেকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদে পরিণত করে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছেন আল্লামা আলাবানী। অত:এব আর কাল বিলম্ব না করে আসুন, আমরা হাদীসে নববীর এই নিরলস খাদেম, সালফে সালেহীনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি, মুহাদ্দিস, ফকীহ, দাঈ, ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ:) এর সাথে পরিচিত হই।
প্রারম্ভিকা: আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ:) আধুনিক যুগে মুসলিম জাহানের একজন স্বনামধন্য আলেম। আধুনিক বিশ্বে শাইখ আলবানীকে ইলমে হাদীসের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইলমুল জারহে ওয়াত তাদীলের[1] ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রতিভাধারী আলেম হিসেবে গণ্য করা হয়। ইলমে মুস্তালাহুল হাদীসের[2] ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বক্তিত্ব।
মুহাদ্দিসগণ বলেছেন: “তিনি যেন ইবনে হাজার আসকালানী, হাফেয ইবনে কাসীর প্রমুখ ইলমুল জারহে ওয়াত তাদীলের আলেমদের যুগকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন।”

জন্ম ও পরিচয়:

নাম: মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন (১৯১৪-১৯৯৯ খৃষ্টাব্দ) পিতার নাম: আলহাজ্ব নূহ। দাদার নাম: নাজাতী। ডাক নাম: আবু আব্দুর রহমান। ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায় তার জন্ম হওয়ায় তাকে আলবানী বলা হয়। তিনি ১৩৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৯১৪ খৃষ্টাব্দে আলবেনিয়ার রাজধানী স্কোডার (Shkodër-বর্তমান নাম তিরানা) এ জন্ম গ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল দরিদ্র। কিন্তু দীনদারী ও জ্ঞানার্জন তাদের দারিদ্রতার উপর ছিল বিজয়ী। তার পিতা ছিলেন আলবেনিয়ার একজন বিজ্ঞ আলেম। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য মানুষ তার কাছে ছুটে যেত। তিনি সাধ্যানুযায়ী মানুষকে দ্বীনের জ্ঞান দিতেন এবং তাদেরকে দিক নির্দেশনা প্রদান করতেন। তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শরীয়াহ বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।
আলবেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট আহমদ জাগু পশ্চাত্য সেকুলার সভ্যতার দিকে ধাবিত হয়ে নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ করলে তিনি শিশু আলবানীকে নিয়ে সপরিবারে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে হিজরত করেন।

শিক্ষা জীবন:

দামেস্ক আসার পর আলবানীর বয়স নয় বছরের কাছাকাছি হলে তার পিতা তাকে সেখানকার ‘স্কুল অব এইড চ্যারিটি’ নামক একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানেই তিনি কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
প্রচলিত একাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দীন সম্পর্কে ভাল জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা ছিল না। বিধায় তার পিতা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ ছেলের পড়া-শোনার ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টি পোষণ করতেন। এ কারণে, তিনি নিজে সন্তানের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা সিলেবাস তৈরি করে তার মাধ্যমে তাকে আল কুরআনুল কারীম, তাজবীদ, নাহু, সরফ এবং হানাফী ফিকাহ ইত্যাদি বিষয় শিক্ষা দিতে লাগলেন। ফিকাহের মধ্যে হানাফী ফিকাহের অন্যতম কিতাব মুখতাসরুল কুদুরী পড়ান। তিনি তার পিতার কাছেই হাফস বিন আসেম এর রেয়াওয়াত অনুযায়ী কুরআনের হিফয সমাপ্ত করেন।
এরপর তার পিতার বন্ধু বিশিষ্ট আলেম শাইখ সাঈদ আল বুরহানীর নিকট হানাফী ফিকাহের কিতাব মুরাকিল ফালাহ, নাহুর কিতাব শুযূরুয যাহাব এবং আধুনিক যুগের লিখা আরবী সাহিত্য ও ইলমুল বালাগাহর কিছু কিতাবাদি পড়েন। এর পাশাপাশি তিনি তখনকার দামেস্কের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা মুহাম্মদ বাহজা আল বাইতারের বিভিন্ন দারসে অংশ গ্রহণ করতেন।
তিনি তার পিতার কাছেই ঘড়ি মেরামতের কাজ শিখেন এবং এ ক্ষেত্রে সুখ্যাতি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঘড়ি মেরামতকেই জীবীকার পেশা হিসেবে বেছে নেন। এই পেশায় তিনি ব্যক্তিগত পড়া-লেখা ও বিভিন্ন কিতাবাদী অধ্যয়নের পর্যাপ্ত সময় পান। এভাবে সিরিয়ায় হিজরতের মাধ্যমে তার জন্যে আরবী ভাষা ও মূল উৎস থেকে শরীয়তের জ্ঞানার্জনের পথ সুগম হয়।

হাদীস অধ্যয়ন:

হাদীস অধ্যয়নের প্রতি তার মনোনিবেশ:
যদিও তার পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল তার ছেলে যেন হানাফী মাজহাবের তাকলীদ করে। যার কারণে তিনি তাঁকে ইলমে হাদীস চর্চায় মনোনিবেশ করতে সতর্ক করতেন। তথাপি আলবানী ইলমুল হাদীস ও হাদীস চর্চার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে প্রেরণা যোগায় শাইখ মুহাম্মদ রশীদ রেজা কর্তৃক প্রকাশিত আল মানার নামক একটি মাসিক ম্যাগাজিন। সেখানে হাদীস বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সন্দর্ভ প্রকাশিত হয় এবং তিনি সেগুলো নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন করতে থাকেন। এভাবে ধীরে ধীরে হাদীস চর্চায় মনোনিবেশ করার জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠে। তারপর ব্যাপক আগ্রহ সহকারে হাদীস চর্চা শুরু করেন। ফলে মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বুৎপত্তি অর্জন করেন।
এবার তিনি হাদীসের সেবায় কলম ধরলেন। সর্ব প্রথম যে কাজটি করলেন তা হল, তিনি হাফেজ ইরাকী (রহ:) এর লিখা “المغني عن حمل الأسفار في تخريج ما في الإحياء من الأخبار” নামক কিতাবটি কপি করে তাতে টিকা সংযোজন করলেন।
শাইখের এই কাজটি তার সামনে হাদীস নিয়ে গবেষণার বিশাল দরজা খুলে দেয়। এরপর ইলমে হাদীস নিয়ে গবেষণা করা তার প্রধান কাজে পরিণত নয়। ক্রমেই তিনি দামেস্কের ইলমী জগতে এ বিষয়ে পরিচিতি লাভ করেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে দামেস্কের জাহেরিয়া লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ তার জন্য বিশেষ একটি কক্ষ নির্ধারণ করে দেয়, যেন তিনি সেখানে অবস্থান করে গবেষণা কর্ম চালাতে পারেন। সেই সাথে লাইব্রেরীর একটি চাবিও তাকে দেয়া হয় যেন তিনি যখন খুশি তাতে প্রবেশ করতে পারেন।
তবে বই-পুস্তক লেখা শুরু করেন তার জীবনে দ্বিতীয় স্তরে। এই পর্যায়ে এসে তিনি সর্ব প্রথম যে গ্রন্থটি রচনা করে তা হল: تحذير الساجد من اتخاذ القبور مساجد এটি একটি দলীল নির্ভর তুলনামূলক আলোচনা ভিত্তিক ফিকাহের কিতাব। এটি একাধিক বার মুদ্রিত হয়েছে।
ইলমে হাদীসের রীতি অনুসারে হাদীসের তাখরীজ সংক্রান্ত প্রথম পর্যায়ের অন্যতম একটি গ্রন্থ হল:
الروض النضير في ترتيب و تخريج معجم الطبراني الصغير”
যা এখানো পাণ্ডুলিপি আকারেই রয়েছে।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের সাথে যুক্ত থাকার কারণে শাইখ আলবানীর মধ্যে সালাফী চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটে। সেই সাথে সালাফী ধারার বিশ্ব বরেণ্য আলেম শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া এবং তার ছাত্র ইবনুল কাইয়েম (রহ.) রচিত গ্রন্থাদী অধ্যয়ন করার ফলে এই রীতির উপর তার দৃঢ়তা আরও মজবুত হয়।
শাইখ আলবানী এবার সিরিয়ায় তাওহীদ ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াতের পতাকা তুলে ধরলেন। ফলে সিরিয়ার অনেক আলেম ওলামা তার সাক্ষাতে আসেন এবং শাইখ ও ঐ সকল আলেমদের মাঝে তাওহীদের বিভিন্ন মাসআলা, কুরআন-সন্নাহর অনুসরণ, মাজহাবী গোঁড়ামি, বিদআত ইত্যাদি অনেক বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হয়।
ফলে মাজহাবের অন্ধভক্ত গোঁড়া আলেম-ওলামা, সুফি, বিদআতী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন একশ্রেণীর নামধারী আলেমদের পক্ষ থেকে তিনি প্রচণ্ড বিরোধিতার সম্মুখীন হন। এ সকল ব্যক্তিরা সাধারণ অজ্ঞ-মূর্খ লোকদেরকে তার বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলে। তাকে ‘পথভ্রষ্ট ওহাবী’ বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং জনসাধারণকে শাইখ থেকে সর্তক করতে থাকে।
অপরপক্ষে তার দাওয়াতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন দামেস্কের ইলম ও পরহেজগারীতায় প্রসিদ্ধ স্বনামধন্য আলেম-ওলামাগণ। তারা শাইখকে তার দাওয়াতের পথে দৃঢ় কদমে এগিয়ে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেন। সে সকল ওলামাগণের মধ্যে অন্যতম হলেন: বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা বাহজাত আল বাইতার, সিরিয়া মুসলিম যুব সংঘের প্রধান শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আল ইমাম, শাইখ তাওফীক আল বাযারাহ প্রমুখ।

শাইখ আলবানীর দাওয়াহ কার্যক্রম:

নিয়মিত দারস:
তিনি প্রতি সপ্তাহে দুদিন আকীদাহ, ফিকাহ, উসুল এবং ইলমুল হাদীস ইত্যাদি বিষয়ে দারস প্রদান করতেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও উপস্থিত হতেন। এতে তিনি যে সকল বইয়ের উপর দারস প্রদান করতেন সেগুলো হল:
১) ফাতহুল মাজীদ, লেখক: আব্দুর রহমান বিন হাসান বিন মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব।
فتح المجيد لعبد الرحمن بن حسن بن محمد بن عبد الوهاب
২) আর রওজাতুন নাদিয়াহ শারহুদ দুরারুল বাহিয়্যাহ লিশ শাওকানী শারহু সিদ্দীক হাসান খাঁন।
الروضة الندية شرح الدرر البهية للشوكاني شرح صديق حسن خان.
৩) উসূলুল ফিকাহ, লেখক: আব্দুল ওয়াহাব খাল্লাফ।
أصول الفقه لعبد الوهاب خلاف
৪) আল বায়িসুল হাসীস শারহু ইখতিসারি উলূমিল হাদীস লি ইবনে কাসীর, লেখক: আহমদ শাকের।
الباعث الحثيث شرح اختصار علوم الحديث لابن كثير شرح احمد شاكر
৫) মিনহাজুল ইসলাম ফিল হুকম, লেখক: মুহাম্মদ আসাদ।
منهاج الإسلام في الحكم لمحمد أسد
৬) ফিকহুস সুন্নাহ, লেখক: সাইয়েদ সাবিক।
فقه السنه لسيد سابق
খ) প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে তিনি দাওয়াতী সফরে বের হতেন। প্রথম পর্যায়ে তিনি মাসে এক সপ্তাহ দাওয়াতী কাজ করতেন। পরবর্তীতে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। তিনি সিরিয়ার বিভিন্ন জেলায় দাওয়াত নিয়ে যেতেন। পাশাপাশি জর্ডানের বিভিন্ন এলাকায়ও সফর করতেন এবং অবশেষে তিনি জর্ডানের রাজধানী আম্মানে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। এই কারণে তার কিছু দুশমন সিরিয় সরকারের কাছে তার ব্যাপারে চুগলখোরি করলে সরকার তাকে জেলে পাঠায়।

কষ্টে ধৈর্য ধারণ ও হিজরত:

১৯৬০ সালের প্রথম দিকে শাইখ সিরিয়া ক্ষমতাসীনদের নজরদারীতে পড়েন যদিও তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। যা তার সামনে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। তিনি দুবার গ্রেফতার হয়েছেন। প্রথমবার ৬৮ সালের আগে দামেস্কের কেল্লা কারাগারে বন্দি ছিলেন একমাসের জন্য। এটা সেই কারাগার যেখানে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ:)কে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ৬৮ সালের যুদ্ধের সময় সিরিয় সরকার সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে দিলে তিনিও মুক্ত হন।
কিন্তু যুদ্ধ আরও কঠিন রূপ ধারণ করলে শাইখকে পুনরায় কারাবরণ করতে হয়। কিন্তু এবার কেল্লা কারাগারে নয় বরং দামেস্কের পূর্ব-উত্তরাঞ্চলের আল হাসাকা কারাগারে। শাইখ এখানে আট মাস অতিবাহিত করেন। কারাগারে অবস্থানের এই আট মাস সময়ে তিনি হাফেয মুনযেরীর লেখা মুখতাসার সহীহ মুসলিম তাহকীক করেন এবং সেখানে অন্যান্য বড় বড় রাজবন্দী ব্যক্তিত্বের সাথে মিলিত হন।
পরবর্তীতে তিনি সিরিয়া ছেড়ে জর্ডানে পাড়ি জমান এবং রাজধানী আম্মানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন।

কার্যক্রম ও অবদান:

শাইখের অনেক ইলমী অবদান ও খেদমত রয়েছে। তন্মধ্যে:
১) শাইখ দামেস্ক একাডেমীর কতিপয় শিক্ষকদের সাথে আল্লামা বাহজাত আল বাইতারের বিভিন্ন দারসে অংশ গ্রহণ করতেন। সে সকল শিক্ষকদের একজন হলেন ইযযুদ্দীন আত তানূহী (রহ:)।
২) দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়া ফ্যাকাল্টির পক্ষ থেকে তাকে ইসলামী ফিকাহ কোষ এর বুয়ূ বা ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত হাদীসগুলো তাখরীজ করার জন্য মনোনীত করা হয় যা ১৯৫৫ইং সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
৩) মিসর ও সিরিয়া একীভূত হওয়ার যুগে হাদীসের কিতাব সমূহ তাহকীক ও প্রচার-প্রসারের নিমিত্তে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। শাইখকে এই প্রকল্প তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।
৪) ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া বেনারসে হাদীসের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য তার নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু তৎকালীন সময় ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধ চলছিল। তাই স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যাওয়া কঠিন হওয়ায় তিনি সেখানে যেতে অপারগতা পেশ করেন।
৫) সৌদি আরবের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী শাইখ হাসান আলুশ শাইখ আব্দুল্লাহ ১৩৮৮ হিজরীতে মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার ডিপ্লোমা ইন ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য তাঁর নিকট আবেদন করেন কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।
৬) ১৩৯৫ হিজরী থেকে ১৩৯৮ হিজরী পর্যন্ত মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট সদস্য হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়।
৭) স্পেনের মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন এর আহবানে তিনি সেখানে গিয়ে অত্যন্ত সারগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেন যা পরবর্তীতে ‘আকীদা ও আহকাম উভয় ক্ষেত্রেই হাদীস স্বয়ং সম্পন্ন প্রমাণ’ এই শিরোনামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
৮) কাতার সফরে গিয়ে সেখানে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের বিষয় ছিল: “ইসলামে সন্নাহর মর্যাদা।”
৯) সৌদি আরবের মহামান্য গ্র্যান্ড মুফতী শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ.) এর পক্ষ থেকে তিনি মিসর ও মরক্কো এর ফতোয়া ও গবেষণা বোর্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। অনুরূপভাবে ব্রিটেনের তাওহীদ ও কুরআন-সন্নাহর দিকে আহবানের জন্য গঠিত একটি ইসলামী সংগঠনের প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
১০) তাঁকে দেশে-বিদেশে অনেক সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আহবান করা হয়। কিন্তু তিনি তার জ্ঞান-গবেষণার কাজে ব্যস্ততার দরুন অনেক দাওয়াতে সাড়া দিতে পারেন নি।
১১) তিনি কুয়েত ও আরব আমিরাতে সভা-সেমিনারে অনেক বক্তব্য প্রদান করেন। অনুরূপভাবে ইউরোপের কয়েকটি দেশে গমন করে সেখানকার মুসলিম অভিবাসী ও শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং অনেক মূল্যবান দারস পেশ করেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটেন এবং জার্মানিতে দাওয়াতী উদ্দেশ্যে সফর করেন।
১২) শাইখের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জন করে অগণিত ছাত্র বের হয়েছে যারা পরবর্তীতে বড় বড় গবেষক হিসেবে ইসলামে সেবায় আত্ম নিয়োগ করে করেছেন।

তাঁর লিখিত কিতাবাদী ও গবেষণা:

শাইখের অনেক মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ বই-পুস্তক ও গবেষণা কর্ম রয়েছে। সেগুলোর সংখ্যা শতাধিক। তন্মধ্যে অনেকগুলোই বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। কোন কোনটি একাধিক বার মুদ্রিত হয়েছে। সেগুলো থেকে নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বইয়ের তালিকা প্রদান করা হল:
১) ইরওয়াউল গালীল ফী তাখরীজি আহাদীসি মানারিস সাবীল। (নয় খণ্ডে সমাপ্ত)
إرواء الغليل في تخريج أحاديث منار السبيل
২) সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহাহ। (সহীহ হাদীস সিরিজ এবং সেগুলোর কিছু ব্যাখ্যা ও শিক্ষা।) (সাত খণ্ডে সমাপ্ত)
وسلسلة الأحاديث الصحيحة و شيء من فقهها و فوائدها
৩) সিলসিলাতুল আহাদীসিয যাঈফাহ ওয়া মাযূআহ (দূর্বল ও বানোয়াট হাদীস সিরিজ এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে তার কুপ্রভাব)। (চৌদ্দ খণ্ডে সমাপ্ত)
سلسلة الأحاديث الضعيفة و الموضوعة و أثرها السيئ في الأمة
৪) সাহীহ ওয়া যাঈফ সুনান আবূ দাউদ (সুনান আবুদাউদের হাদীসগুলো তাখরীজ এবং তাহকীক করে সহীহ ও যঈফ দুভাবে ভাগ করা হয়েছে।) (দশ খণ্ডে সমাপ্ত)
صحيح وضعيف سنن أبي داود
৫) সাহীহ ও যাঈফ সুনান নাসাঈ (সুনান নাসাঈর হাদীসগুলো তাহকীক করে সহীহ ও যঈফ দুভাবে ভাগ করা হয়েছে।) (সাত খণ্ডে সমাপ্ত)
صحيح وضعيف سنن النسائي
৬) সাহীহ ওয়া যাঈফ সুনান তিরমিযী (সুনান তিরমিযীর হাদীসগুলো তাহকীক করে সহীহ ও যঈফ দুভাবে ভাগ করা হয়েছে।) (সাত খণ্ডে সমাপ্ত)
صحيح وضعيف سنن الترمذي
৭) সাহীহ ওয়া যাঈফ সুনান ইবনে মাজাহ (সুনান ইবনে মাজার হাদীসগুলো তাহকীক করে সহীহ ও যঈফ দুভাবে ভাগ করা হয়েছে।) (ছয় খণ্ডে সমাপ্ত)
صحيح وضعيف سنن ابن ماجه
৮) সহীহ ওয়া যঈফুত তারগীব ওয়াত তারহীব। (তারগীব ওয়াত্ তারহীব কিতাবের হাদীসগুলো তাহকীক করে সহীহ ও যঈফ দুভাবে ভাগ করা হয়েছে।) (পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত)
صحيح وضعيف الترغيب والترهيب
৯) তাববীব ওয়া তারতীবু আহাদীসিল জামে’ আসসাগীর।
تبويب وترتيب أحاديث الجامع الصغير وزياداته على أبواب الفقه
১০) সহীহ ওয়া যাঈফুল জামে’ আস সাগীর ওয়া যিয়াদাহিহী।
صحيح وضعيف الجامع الصغير وزياداته
১১) আত তা’লীকাতুল হিসান আলা সাহীহ ইবনে হিব্বান।
التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
১২) সহীহুল আদাবুল মুফরাদ। (এই গ্রন্থে ইমাম বুখারী (রহ:) রচিত আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবের সহীহ হাদীসগুলো তাহকীক করে পৃথক করা হয়েছে।(
صحيح الأدب المفرد
১৩) যঈফুল আদাবুল মুফরাদ। (এই গ্রন্থে ইমাম বুখারী (রহ:) রচিত আল আদাবুল মুফরাদ কিতাবের দূর্বল হাদীসগুলো তাহকীক করে পৃথক করা হয়েছে।)
ضعيف الأدب المفرد
১৪) তামামুল মিন্নাহ ফীত্ তা’লীক আলা ফিকহিস সুন্নাহ। (আল্লামা সাইয়েদ সাবিকের লেখা ফিকহুস সুন্নাহ গ্রন্থের তাহকীক ও তাতে টিকা সংযোজন।(
تمام المنة في التعليق على فقه السنة
১৫) তাহকীক মিশকাতিল মাসাবীহ লিত তিবরীযী। (মিশকাতুল মাসাবীহের তাহকীক(
تحقيق كتاب مشكاة المصباح للتبريزي
১৬) আস সুমুরুল মুসতাত্বাব ফী ফিকহিস সুন্নাহ ওয়া কিতাব।
الثمر المستطاب في فقه السنة والكتاب
১৭) আত তাওহীদ আওয়ালান ইয়া দুয়াতাল ইসলাম। (হে ইসলাম প্রচারকগণ, সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত দিন)
التوحيد أولاً يا دعاة الإسلام
১৮) ফাযলুস সালাতি ‘আলান্নাবী। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দুরুদ পাঠের ফযীলত)
فضل الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم
১৯) ফিতনাতুত তাকফীর। (মুসলমানকে কাফির বলার ফিতনা)
فتنة التكفير
২০) তাহযীরুস সাজিদ মিন ইত্তিখাযিল কুবূরি মাসাজিদ। (কবরকে মসজিদ বানানোর ব্যাপারে সতর্কতা)
تحذير الساجد من اتخاذ القبور مساجد
২১) শারহুল আকীদাহ আত ত্বহাবীয়্যাহ। (আকীদা ত্বহাবিয়ার ব্যাখ্যা(
شرح العقيدة الطحاوية
২২) তাহকীক মুখতাসারুর উলূ’ লিল আলিয়্যিল গাফফার (ইমাম যাহাবীর লেখা মুখতাসার আল ঊলূ কিতাবের তাহকীক(
تحقيق مختصر العلو للعلي الغفار لمحمد بن أحمد بن عثمان الذهبي
২৩) কিতাবুল ঈমান (ইমাম ইবনে তাইমিয়া রচিত কিতাবুল ঈমানের তাহকীক ও তাখরীজ(
الإيمان لابن تيمية
২৪) জিলবাবুল মারআতিল মুসলিমাহ (মুসলিম নারীর পর্দা)
جلباب المرأة المسلمة
২৫) হিজাবুল মারআহ ও লিবাসুহা ফিস সালাহ (শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ:) রচিত নামাযে নারীর পর্দা ও পোষাক শীর্ষক কিতাবের তাহকীক ও তাতে টিকা সংযোজন(
حجاب المرأة ولباسها في الصلاة تأليف: شيخ الإسلام ابن تيمية
২৬) আর রাদ্দুল মুফহিম (যারা নারীদের মুখ ওহস্তদয়কে ঢাকাকে ওয়াজিব বলে তাদের প্রতিবাদ)
الرد المفحم، على من خالف العلماء وتشدد وتعصب، وألزم المرأة بستر وجهها وكفيها وأوجب، ولم يقتنع بقولهم: إنه سنة ومستحب
২৭) তাহরীমু আলাতিত ত্বরব। (বাদ্য যন্ত্র হারাম)
التوسل
২৮) আত তওয়াসসুল (ওসীলার প্রকার ও বিধিবিধান)
تحريم آلات الطرب
২৯) আহকামুল জানাইয (জানাযার বিধান)-বাংলায় অনুদিত।
أحكام الجنائز
৩০) যিলালুল জান্নাহ (জান্নাতের ছায়া)
ظلال الجنة
৩১) আদাবুয যুফাফ (বাসর শয্যার আদব)
آداب الزفاف
৩২) মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরাহ (হজ্জ ও উমরার বিধিবিধান)
مناسك الحج والعمرة في الكتاب والسنة وآثار السلف وسرد ما ألحق الناس بها من البدع
৩৩) কিয়ামু রামাযান (রামাযান মাসে তারাবীহর নামাযের ফযীলত, নিয়ম-কানুন, জামায়াতে আদায়ের বৈধতা এবং ইতেকাফ সংক্রান্ত আলোচনা)
قيام رمضان
৩৪) সালাতুত তারাবীহ (তারাবীহর সালাত)
صلاة التراويح
৩৫) সহীহু সীরাতিন নববিয়্যাহ (বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের জীবনী(
صحيح السيرة النبوية
৩৬) সালাতুল ঈদাইন ফিল মুসাল্লা (ঈদগাহে ঈদের নামায পড়া সুন্নত(
صلاة العيدين في المصلى هي السنة
৩৭) তাহকীক ফিকহিস সীরাহ (মুহাম্মদ গাযালী রচিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী বিষয়ক গ্রন্থের তাহকীক(
تحقيق فقه السيرة لمحمد الغزالي
৩৮) কিতাবুল ইলম (ইমাম নাসাঈ রচিত কিতাবুল ইলম গ্রন্থের তাহকীক, তাখরীজ ও তাতে টিকা সংযোজন)
كتاب العلم تأليف الحافظ أبي خيثمة زهير بن حرب النسائي
৩৯) কালিমাতুল ইখলাস (হাফেয ইবনে রজব হাম্বলী (রহ:) রচিত কালিমাতুল ইখলাস কিতাবের তাহকীক ও তাখরীজ)
كلمة الإخلاص وتحقيق معناها تأليف الحافظ ابن رجب الحنبلي
৪০) মুখতাসারুশ শামাইলিল মুহাম্মাদিয়্যাহ। (ইমাম তিরমিযী রচিত শামাইলে মুহাম্মাদিয়া বা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্বভাব-চরিত্র ও দেহাবয়ব গঠন বিষয়ক কিতাবের তাহকীক ও সংক্ষিপ্ত করণ)
مختصر الشمائل المحمدية للإمام أبي عيسى محمد بن سورة الترمذي صاحب السنن
৪১) মুসাজালাহ ইলমিয়্যাহ (দুজন মহামান্য ইমাম আল ইয ইবনু আব্দিস সালাম ও ইবনুস সালাহ এর মাঝে সংঘটিত মুনাযারা(
مساجلة علمية بين الإمامين الجليلين العز بن عبد السلام و ابن الصلاح
৪২) সালাতুর রাগাইব (রজব মাসের অন্যতম বিদআত সালাতুর রাগাইব প্রসঙ্গ(
حقيق حول صلاة الرغائب المبتدعة محمد ناصر الدين الألباني ومحمد زهير الشاويش
৪৩) নাসবুল মাজানীক (গারানিকের ঘটনা প্রসঙ্গে বিভ্রান্তির জবাব)
نصب المجانيق لنسف قصة الغرانيق
৪৪) কিসসাতুল মাসীহিদ দাজ্জাল ও নুযুলি ঈসা আলাইহিস সালাম (দাজ্জাদ ও ঈসা আলাইহিস সালাম এর অবতরণ প্রসঙ্গ(
قصة المسيح الدجال ونزول عيسى عليه الصلاة و السلام وقتله إياه على سياق رواية أبي أمامة رضي الله عنه مضافا إليه ما صح عن غيره من الصحابة رضي الله عنهم
৪৫) ফিকহুল ওয়াকি (দাওয়াহর ক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতির জ্ঞান থাকা প্রসঙ্গে একটি গবেষণা মূলক বই(
حول فقه الواقع
৪৬) সিফাতুল ফাতওয়া (ইমাম আহমাদ বিন হামদান রচিত ফতোয়া, মুফতী এবং ফতোয়া প্রার্থীর বিবরণ শীর্ষক কিতাবের তাহকীক)
تحقيق صفة الفتوى والمفتي والمستفتي للإمام أحمد بن حمدان الحراني الحنبلي
৪৭) হুকুকুন নিসা (মুহাম্মদ রশীদ রেযা কর্তৃক রচিত ইসলামে নারী অধিকার শীর্ষক কিতাবের তাহকীক ও তাতে টিকা সংযোজন)
حقوق النساء في الإسلام وحظهن من الإصلاح المحمدي العام تأليف : محمد رشيد رضا
৪৮) হুকমু তারিকিস সালাহ (সালাত পরিত্যাগ কারীর বিধান)।
حكم تارك الصلاة
৪৯) সিফাতুস সালাহ (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সালাত -তাকবীর থেকে সালাম পর্যন্ত যেন আপনি তাঁকে দেখছেন)।
صفة صلاة النبي صلى الله عليه وسلم
৫০) তারাজুতুশ শাইখ আল আলবানী (আল্লামা আলবানী (রহ:) যে সকল হাদীসের উপর সহীহ কিংবা যঈফ হুকুম প্রদানের ক্ষেত্রে মত পরিবর্তন করেছেন)
تراجعات الشيخ الألباني في بعض أحكامه الحديثية
এছাড়াও আল্লামা আলবানী (রহ:) এর লিখিত হাদীসের খেদমতে এবং ইসলামে বিভিন্ন বিষয় প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অনেক গ্রন্থ রয়েছে। লেখার কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় সেগুলো এখানে উল্লেখ করা হল না। এই লিংক থেকে শাইখের লিখিত অনেকগুলো কিতাবাদী পাওয়া যাবে।

আন্তর্জাতিক বাদশাহ ফায়সাল পুরষ্কার:

ইসলামী জ্ঞান-গবেষণা ও ইসলামী শিক্ষার প্রচারে অবদানের জন্য তাকে ১৪১৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৯ ইং সনে আন্তর্জাতিক বাদশাহ ফায়সাল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। তার পুরষ্কারের শিরোনাম ছিল: “প্রায় একশ’র অধিক পুস্তক রচনার মধ্য দিয়ে হাদীসের তাহকীক, তাখরীজ ও গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাদীসের সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সিরিয় নাগরিক সম্মানিত শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানীকে এ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হল।”

তাঁর ব্যাপারে আলেমগণের ভূয়সী প্রশংসা:

১) শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ:) বলেন:
“বর্তমান বিশ্বে আসমানের নিচে আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানীর মত এত বড় হাদীসের আলেম আমি দেখি নি।”
শাইখ বিন বায (রহ:) এর নিকট এই হাদীসটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তায়ালা প্রতি একশ বছরের মাথায় এই উম্মতের জন্য এমন একজনকে পাঠাবেন যিনি দ্বীন-ইসলামকে সংস্কার করবেন।” তিনি বলেন: আমার ধারণা, শাইখ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী হলেন এ যুগের মুজাদ্দিদ বা সংস্কারক। আল্লাহ সব চেয়ে ভাল জানেন।
২) আল্লামা শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহ.) বলেন:
“শাইখের সাথে বৈঠকাদীতে বসার পর (যদিও তা কম) যা বুঝতে পেরেছি তা হল: তিনি সন্নাহর প্রতি আমল এবং আমল-আকীদা উভয় ক্ষেত্রেই বিদয়াত উৎখাতে খুবই আগ্রহী। আর তার লিখিত বই-পুস্তক পড়ে তার ব্যাপারে জানতে পারলাম যে, তিনি হাদীসের সনদ ও মতন উভয় ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অধিকারী। এ সকল বই-পুস্তক দ্বারা আল্লাহ তায়ালা অনেক মানুষকে উপকৃত করেছেন-যেভাবে জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে তারা লাভবান হয়েছে তদ্রূপ নীতি নির্ধারণ এবং ইলমে হাদীসের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও তারা লাভবান হয়েছেন। এটি মুসলমানদের জন্য বড় একটি বড় প্রাপ্তি। আল হামদুলিল্লাহ।
.


Sunday 8 November 2015

Lecture : Dr. Zakir Naik : 8/11/2015 by JAPAN MUSLIM PEASE FEDERATION (JMPF) AT TOKYO UNIVERSITY HALL

CLICK on PHOTO:-

https://youtu.be/j4tv2UOe4XY

https://youtu.be/j4tv2UOe4XY  









STRICK on PHOTO below:-

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=941747799225860&set=pcb.941749155892391&type=3&theater

Rashid Samad Khan added 78 new photos to the album: 8th International Seminar on Prophet Muhammad (SAW) by JMPF — at The University of Tokyo / UTokyo
4 hrs ·
預言者ム ハンマド(彼に平安あ れ)の教えについて
第8回国際セミナー
8th International Seminar on Prophet Muhammad (SAW)
テーマ:イスラームにおける人間の尊厳
Theme: Human Dignity in Islam
講演: ザーキル・ナイク師
世界的有名なインド人イスラーム学者
宗教間対話によって平和とハーモニー活動が専門
Lecture : Dr. Zakir Naik
World famous Indian Muslim Scholar
Specialized in Peace & Inter-religion harmony
8/11/2015 by JAPAN MUSLIM PEASE FEDERATION (JMPF) AT TOKYO UNIVERSITY HALL

Monday 5 October 2015

কিছু আলেমদের নাম ও পরিচয়



কিছু আলেমদের নাম ও পরিচয়
_______________________________
আমাকে একজন জিজ্ঞাস করলো আচ্ছা অমুক
ইসলামি সেলেব্রিটি (সে একজন টিভি/
ইউটিউব বক্তা!) অথচ সে নিজেই নিকাব
পড়েনা। চেহারা ঢেকে রাখা যদি ওয়াজিব
হয়ে থাকে তাহলে সে কি করে উস্তাদা হতে
পারে?
_______________________________
আরেকজন মেসেজ করে কমপ্লেইন করলো,
ইলমের ব্যপারে এতীম এক ভাই একজন আধা-
হিজাবী নারীর ভিডিও দিয়ে বলছে, আমাদের
পরিবারের লোকেরা যদি এইরকম হিজাব
করতো! অথচ গায়ের মাহরাম নারীদের ছবি
প্রচার করাই জায়েজ না, সেখানে মাথায় শুধু
একটা স্কার্ফ দিয়ে রংগিন পোষাকে চেহারা
দেখিয়ে এসে লেকচার দিবে?
· লেকচারের বিষয়বস্তু বলতে পারছিনা,
কারণ অরুচিকর এই ভিডিও দেখা জায়েজ না,
যদিওবা সেটা হিজাবের উপরে লেকচার দিক
না কেনো!
_______________________________
যাইহোক আপনারা এইরকম আধা-ইসলামিক
বক্তা ও লেখক থেকে সাবধান থাকবেন।
কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে মূর্খ বক্তা
বেশি হবে আর আলেম কম হবে। আর বিশেষ
করে অজ্ঞ নারী সেলেব্রিটি/বক্তা/
লেখকদের থেকেও সাবধান থাকবেন। আমার
ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকেই নারী
সেলেব্রিটিদের লেখা শেয়ার করে, আমি
যতটুকু দেখলাম, এদের অনেকেই ভালো কলম
চালাতে পারে, কিন্তু ইসলাম
আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ অনেকের বড়রকমের
ত্রুটি আছে। অনেক সময় এরা আবেগবশত
হক্কের বিরুদ্ধে, আলেমদের বিরুদ্ধে লেখা
শুরু করে - তাই সাবধান!
_______________________________
আমি একথা বলছিনা, নারী কেউ আলেম হতে
পারবেনা। মা আয়িশাহ (রাঃ) অনেকে
তাবেয়ীর শিক্ষিকা ছিলেন, পূর্ণ হিজাব
পর্দা করে পর্দার আড়াল থেকে তিনি
তাদেরকে হাদীস ও দ্বীন শেখাতেন।
এছাড়া সমকালীন বড় বড় পুরুষ সাহাবারাও
তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। কিন্তু
এইগুলো ইতিহাসে কম, আপনি এখনো যদি
খোঁজ নিয়ে দেখেন - অনেক নারীই আসলে
দ্বীন শেখার ব্যপারে অনেক পেছনে। এর
বড় একটা কারণ অবশ্য শিক্ষা ব্যবস্থার
অভাব, সমাজ ও অভিভাবকদের মারাত্মক
অবহেলা, সঠিক পরিবেশের অভাবসহ আরো
অনেক কারণ আছে। তবে নারীদের
প্রকৃতিগত যেই কারণ সেটা এই হাদীসে
উল্লেখ করা হয়েছেঃ
_______________________________
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, একবার ঈদুল আযহা বা ঈদুল
ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ্
(সা) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি
মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ
হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকা করতে
থাক। কারন আমি দেখেছি জাহান্নামের
অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা
আরয করলেনঃ কী কারনে, ইয়া রাসূলুল্লাহ্?
তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে
অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর না-শোকরী
করে থাক। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি
থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির
বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি
আর কাউকে দেখিনি। তাঁরা বললেনঃ
আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, ইয়া
রাসূলুল্লাহ্! একজন মহিলার সাক্ষ্য কি
একজন পুরুষের সাক্ষের অর্ধেক নয়? তাঁরা
উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’।. তখন তিনি
বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর
হায়য অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম
থেকে বিরত থাকে না? তাঁরা বললেন,
‘হাঁ’।. তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের
দীনের ত্রুটি।
এখানে একটা কথা বলা জরুরী মনে করছি –
এই হাদীসের আলোকে এটা প্রমানিত হয়না
যে, নারীদের তুলনায় পুরুষেরা শ্রেষ্ঠ।
এখানে নারীদের দুটি প্রকৃতি উল্লেখ করা
হয়েছে। আর কে শ্রেষ্ঠ এর ক্রাইটেরিয়া
ভিন্ন।
কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা
বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে
আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি
দ্বীনদার…
"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন
পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং
তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে
বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা
একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয়
আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক
সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী
(আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।
_______________________
তবে এই কথাগুলো যে শুধু নারী
সেলেব্রিটিদের বেলায় প্রযোজ্য সেটা
না। মোটামুটি কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে
এমন সেলেব্রিটি, ওয়াল্লাহি! বেশিরভাগই
হচ্ছে স্পষ্ট বিদাতী, এদের আকীদাহ ও
মানহাজগত মারাত্মক ত্রুটি, আলেম
বিদ্বেষী (কারণ তারা নিজে নিজে ফাতওয়া
দিতে ভালোবাসে বা প্রবৃত্তির গোলাম),
লাইক পূজারী, ২-১ টাতো অসুস্থ
(মানসিকভাবে)...
_______________________________
তাই এইসমস্ত ফেবু শায়খ আর এফ এম
মুফতিদের বাদ দিয়ে সত্যিকারের আলেমদের
কাছ থেকে দ্বীন শেখার চেষ্টা করুন।
সমসাময়িক কিছু আলেমের নাম দেওয়া
হলো।
_______________________________
আপনারা এই নামগুলো মুখস্থ করে নিন, আর
সম্ভব হলে তাদের অনুবাদ করা বই পুস্তক
সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করবনে।
আলেমদের লেখা বই পুস্তক পড়লে ইসলাম
মানা অনেক সহজ হবে।
_______________________________
বিগত শতাব্দীর ৩ জন শ্রেষ্ঠ আলেমের নামঃ
_______________________________
১. ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন
বাজ রাহিমাহুল্লাহ, যিনি শায়খ বিন বাজ
নামে বেশি পরিচিত।
সৌদি আরবের বিগত প্রধান মুফতি।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব। মৃত্যু ১৯৯৯।
_______________________________
২. যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, ইমাম নাসির উদ্দিন
আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ
জন্মস্থানঃ আলবেনিয়া। মৃত্যু ১৯৯৯।
সালাতের উপরে তার লেখা “নবী (সাঃ) এর
নামায” আপনারা অবশ্যই কিনবেন,
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নামায শেখার জন্য।
***নবী (সঃ) যেউভাবে নামায পড়তেনঃ
শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ)
অনুবাদক – এম এন সিরাজুল ইসলাম।
https://islamhousebd.wordpress.com/…/নবী-সাল্লাল্লাহু-আলাই…/
_______________________________
৩. আল্লামাহ, ফকীহ, শায়খ মুহাম্মাদ বিন
সালিহ আল-উসাইমিন।
তার ফতোয়ার কিতাব আপনারা অবশ্যই
কিনবেন...
_______________________________
***ফতোয়া আরকানুল ইসলামঃ
শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন
(রহঃ)
তাওহীদ পাবলিকেশান।
http://www.quraneralo.com/fatawa-arkanul-islam/
_______________________________
ঈমান, নামায, যাকাত, হাজ্জ ও রোযা
সম্পর্কে জরুরী মাসলা মাসায়েল ও ফতোয়ার
উপরে বইটা সবার কাছে থাকা উচিত ও পড়ে
আমল করা উচিত।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব। মৃত্যু ২০০১।
_______________________________
বর্তমানে জীবিত আছেন এমন ৩ জন শ্রেষ্ঠ
আলেমের নামঃ
_______________________________
১. আল্লামাহ, শায়খ সালিহ আল-ফাওজান
(হা’ফিজাহুল্লাহ)
বর্তমান দুনিয়াতে সবচাইতে বড় আলেমদের
মধ্যে একজন। তাঁর আকীদাহ ও ফিকহের
উপরে বহু কিতাব রয়েছে। কিতাবুত
তাওহীদের ব্যখ্যা, বুলুগুল মারামের শরাহ
(ব্যখ্যা গ্রন্থ), ফতোয়ায়ে ইসলামিয়া...
এছাড়া তিনি একজন কাজী ও সৌদি ফতোয়া
বোর্ডের সদস্য।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব।
_______________________________
২. মুহাদ্দিস, শায়খ আব্দুল মুহসিন বিন আল-
আব্বাদ (হা’ফিজাহুল্লাহ)
হাদীসের উপরে আলেম, অত্যন্ত প্রবীন এই
শায়খ নিয়মিত মদীনাহ ইসলামিক
ইউনিভার্সিটিতে ও মদীনার হারামে দারস
দেন। তার অনেক ছাত্র রয়েছে।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব।
_______________________________
৩. আল্লামাহ শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস
(হা’ফিজাহুল্লাহ)
তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনারা
এই লেখাটা পড়তে পারেন।
জন্মস্থানঃ ইন্ডিয়া।
https://m.facebook.com/story.php…
_______________________________